Destination

MV Jol Safari – Tanguar Haor House Boat, Tahirpur, Sunamgonj

MV Jol Safari (এম.ভি জল সাফারি) – A Luxury AC Tourist Ship of Tangua

 

Call: +880 1711336825, 01402288573, 01678076361-69

 

টাঙ্গুয়ার হাওরে  ভ্রমনের এখনই উপযুক্ত সময়। টাঙুয়ার হাওর ভ্রমনে আপনার প্রথম পছন্দ হতে পারে MV Jolsafari, টাঙুয়ার হাওরে নির্মিত আধুনিক ডিজাইনে লাক্সা এসি হাউজবোট MV Jolsafari

 

Total 15 Cabin 40 Beds

 

জল সাফারি  হাউস বোট বৈশিষ্ট্য সমূহঃ

 

১। সম্পূ্র্ণ ‍স্টিলের তৈরি বিশাল আকৃতির লাক্সারি এসি হাউজবোট (দৈর্ঘ্য ১০৫ ফুঠ প্রস্থ ২২ ফুট) যা এযাবত কালে নির্মিত হাওরের মধ্যে সবচেয় বড় বোট।
২। আমাদের রয়েছে ১৫ টি প্যানারোমিক ভিউ রুম, প্রতিটিতে রয়েছে এটাস বাথরুমএবং প্রতি ক্যাবিনে রয়েছে একটি করে এসি ।
২। প্রিমিয়াম ওপেন লাউঞ্জ।
৩।বোটের ভিতর সোজা হয়ে হেঁটে বেড়ানো জন্য ৩ ফুট প্রস্থ ৭ ফুট উচ্চতা জায়গা
৪। আমাদের রযেছে ৩০ বছর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বাবুরচি।
৫। জেনারেটর আইপিএস দিয়ে দিনে / রাতে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ।
৬।সুপ্রশস্ত গ্লাস উইন্ডো
৭।পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট ও বয়া
৮।দক্ষ বাবুর্চির সহায়তায় ট্রেডিশনাল ফ্রেশ খাবার
৯।অভিজ্ঞ ট্যুর গাইড।
১০। বিশাল আকৃতির ছাদ।
১১। রুফটপ গার্ডেন কাম ডাইনিং।
১২। ছাঁদে উঠার জন্য সিঁড়ি
১৩।হাইজেনিক উপকরণ
১৪।জায়নামাজ।
১৫।ফোন ল্যাপটপ চ্যার্জিং সিস্টেম।
১৬।ইনডোর গেমসের বেশ কিছু উপকরণ
১৭।সার্বক্ষণিক রুম সার্ভিস।
১৮।অভিজ্ঞ গাইড
১৯। অভিজ্ঞ বাবুর্চির মাধ্যমে হাওরের বড়,ছোট মাছ,হাসের মাংস সহ বাহারি স্বাদের লোকাল খাবার যা আপনাকে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে বাধ্য করবে।

 
Package Price 12,000  BDT Perperson (Depends on Journey Date)

 

এই প্যাকেজে কি কি অন্তর্ভুক্তঃ

 

১। ২ দিন ১ রাত লাক্সারি হাউজবোট থাকা।
২। টোটাল ৫বেলা মেইন ফুড এবং ৪ বেলা স্ন্যাকস।
৩। জেনারেটর দিয়ে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ।
৪।পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট ও বয়া
৫।অভিজ্ঞ লোকাল ট্যুর গাইড
৬।সার্বক্ষণিক রুম সার্ভিস।
৭।সার্বক্ষণিক চা/কফি/স্ন্যাকস/পানি

 

যা যা দেখবোঃ
১) টাঙ্গুয়ার হাওর
২) হাওরের ওয়াচ টাওয়ার
৩) শহীদ সিরাজ লেক
৪)টেকেরঘাট
৫) বারিক্কা টিলা , জয়নাল আবেদীনের বিখ্যাত শিমুল বাগান,যাদুকাটা নদী,লাকমা ছড়া ( অটো/বাইক দিয়ে)

 

ট্যুর প্লান:

 

১ম দিনঃ সুনামগঞ্জ পৌঁছে সেখান থেকে আমাদের নিজস্ব হাইজবোটে করে আমাদের টাঙ্গুয়ার হাওর যাএা। প্রথমেই চলে যাব ওযাচ টাওয়ার । চার দিকে জলমগ্ন এই টাওযার থেকে পাখির চোখে দেখা যায় টাঙ্গুয়ার হাওড়। এখানে টলটলে পানিতে চলবে আবগাহন।
এর পর গন্তব্য সীমান্ত ঘেরা টেকের ঘাট। হাওড়ের শেষ আর ভারতের শুরু এখানে। টেকের ঘাটে আমরা ঘুরে দেখব চুনা পাথরের নীলাদ্রীলেক আর লাকমা ছড়া।

 

২য় দিনঃ সকাল ৬ টার মধ্য আমরা চলে যাব বারিক্কা টিলা শিমুল বাগান ও পাহাড়ের কোল ঘেসে বয়ে চলা যাদুকাটা নদীর উদ্দেশ্যে যাত্রা। হাওড়ে গোসল করে সন্ধ্যার মধ্যে আমরা সুনামগন্জের উদ্দেশ্য ফিরে আসব।
বিঃদ্রঃ পানির উচ্চতা,স্রোত কম-বেশী,আবহাওয়ার তারতম্য ও যান্ত্রিক গোলযোগ হলে ভ্রমণ পরিকল্পনা পরিবর্তন হতে পারে।

আমাদের খাবার মেনু:
 
১ম দিন: বোটে উঠার পর ওয়েলকাম ড্রিংকস।
মূল নাস্তা : পাউরুটি,বাটার,জেলি,সিদ্ব ডিম,কলা,মধু,কনফ্লেক্স,দুধ,চা,কফি, ফিল্টার ওয়াটার।
স্ন্যাকসঃ কেক কলা + চা/ কফি
দুপুরের খাবারঃ সাদা ভাত-আলু ভর্তা- শাক, লাউ চিংড়ি-হাওড়ের মাছ,চিকেন-ডাল সালাদ,ডেজার্ট।
বিকালের স্ন্যাকসঃ চাওমিন –চা/কফি,বিস্কুট
রাতের খাবারঃ চিকেন বার-বি-কিউ ,গরুর মাংশ ভুনা,ফ্রাইড রাইচ,ডাল ভুনা, পরটা-বার-বি-কিউ সালাদ-কোল্ডড্রিংস-পানি।
 
২য় দিন: সকালের নাস্তা: ভুনা খিচুড়ি-ডিম ওমলেট-আচার- ভর্তা ঘি,বেগুন ভাজি-চা/কফি
স্ন্যাকসঃ চিকেন সেন্ডউইচ,সিজোনাল ফল,চা,কফি,ফিল্টার ওয়াটার।
দুপুরের খাবার: সাদা ভাত হাসের মাংশ –হাওড়ের মাছ,কাচকি ফ্রাই- কলা ভর্তা,পালং শাক সালাদ,ডেজার্ট –পানি।
বিকালের স্ন্যাকস: থাই সুফ/ফ্রাইড চিকেন,ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-চা /কফি।
(বাজারের এভেইলিভিলিটির উপর নির্ভর করে খাবার মেনুতে আংশিক পরিবর্তন হতে পারে)


Inclusion & Exclusion

 

✔Sightseeing
✔Accommodation in cabins
✔Breakfast (Day 1 and 2)
✔Morning Snacks (Day 1 and 2)
✔Lunch (Day 1 and 2)
✔Evening Snacks (Day 1 and 2)
✔Dinner (Day 1 and 2)
✔Light, Fan and Charging point in each cabin
✔Experienced Boat driver, tour guide and cook
✔Rooftop dining facility

✕Transportation to/from Sunamganj
✕Any type of personal expenses
✕Anything which is not mentioned in the inclusions.

 

Policy
Cancellation

To cancel any tour, an email has to be sent to bdcruise.com@gmail.com mentioning the tour booking ID and details about the cancellation.
The time of sending the email will be considered as the time of cancellation.
The email will be considered as the final application for cancellation. A phone call to the tourism.com.bd hotline number or any other team member of tourism.com.bd will not be considered as a request for cancellation.

Refund

The full amount of the tour fee will be refunded if the booking is canceled ten (10) days prior to the start of the experience/tour.
Fifty Percent (50%) of the tour fee will be refunded if the booking is canceled seven (7) days prior to the start of the experience/tour.
No refund will be provided if the booking is canceled less than five (5) days prior to the start of the experience/tour.
Convenience fee is non-refundable and will be deducted from the paid amount.
All refunds will be processed within seven (7) working days.

Child Policy

No fee will be needed for children below the age of three (3). No separate seat will be provided in case of transportation and accommodation.
50% fee must be paid for any child between the age of three (3) and seven (7) years old.
Full amount of money must be paid for anyone above seven (7) years old.

 

For Booking Call: +88 01678086361 to 69

টাঙ্গুয়ার হাওরের দর্শনীয় স্থান সমূহ

ট্যাকের হাট
ট্যাকের হাট ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটি বাজার। টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে যারা আসেন তারা একবার  হলে বেড়িয়ে যান ট্যাকের হাটে। ট্যাকের ঘাটে নৌকা নোঙ্গর করার পর বিকেলের সময়টা সবাই এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়। সন্ধ্যা বেলায় হালকা খাবার বা ভাজা পোড়া খেতে সবাই ভিড় জমায় ট্যাকের হাটে। ট্যাকের ঘাট থেকে ০৩-০৪ মিনিটের হাটার দুরুত্বে এই বাজারের অবস্থান। যারা বাজেট ট্যুরে আসেন তারা ট্যাকের হাটে কম দামে ভালো মানের খাবার পেয়ে যাবেন।  
লাকমা ছড়া
টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরতে আসলে যে জায়গাটিতে যেতে একদম ভূলবেন না সেটি হচ্ছে লাকমা ছড়া। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সবুজের আস্তরন। এই সবুজ আস্তরনের বুক বেয়ে নেমে এসেছে এক ঝর্ণা, যার নাম লাকমা। এই ঝর্নাটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে। লাকমা ঝর্ণাটি বাংলাদেশ থেকে দেখা যায়না। লাকমা ঝর্ণার পানিগুলো বাংলাদেশে বয়ে আসে। লাকমা ঝর্ণার পানি গিয়ে পড়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে। যে পথ দিয়ে পানি গিয়ে হাওরে পড়ে তাকে বলে লাকমা ছড়া। ছড়ার শীতল জল আপনাকে প্রনবন্ত করবে। ছড়ায় বড় বড় পাথর ছড়ার সৌন্দর্যকে কয়েক গুন বৃদ্ধি করেছে। ট্যাকের ঘাটে নৌকা থেকে নেমে একটা অটো বা মোটর সাইকেল নিয়ে লাকমা ছড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতে চলে যেতে পারেন।  
ওয়াচ টাওয়ার
হাওরকে অন্যভাবে উপভোগ করতে অবশ্যই উঠবেন ওয়াচ টাওয়ারে। ছুটির দিন গুলোতে বেশ ভিড় থাকে টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ারে। বলাই নদীর পাশ ঘেঁসে হিজল বনে ওয়াচ টাওয়ারের অবস্থান। প্রায় সব নৌকা একবারের জন্য হলেও ওয়াচ টাওয়ারের পাশে যায়। ওয়াচ টাওয়ারের আশে পাশের পানি বেশ স্বচ্ছ। পানি স্বচ্ছ বলে ঘুরতে আসা বেশিরভাগ পর্যটকই এইখানে গোসল সেরে নেন। এইখানে পানিতে নেমে চা খাওয়ার আছে বিশেষ সুযোগ। ছোট ছোট নৌকায় করে হাওরের স্থানীয় লোকজন চা, বিস্কুট বিক্রয় করে। আপনি চাইলে বড় নৌকা থেকে নেমে ছোট ছোট নৌকা দিয়ে ঘুরতে পারবেন এইখানে, শুনতে পারবেন মাঝির সুমধুর কন্ঠে হাওর বাঁচানোর গান।  
নীলাদ্রি লেক
নীলাদ্রি লেক এইখানে মানুষদের কাছে পাথর কুয়ারি নামে পরিচিত। এই লেকটি এবং তার আশ পাশের এলাকা বাংলার কাশ্মীর নামেও পরিচিত। নীলাদ্রি লেকের বর্তমান নাম “শহীদ সিরাজী লেক” । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ গেরিলা যোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বির বিক্রম এর নামানুসারে এই লেকের নামকরন করা হয়। কিন্তু ট্রাভেলার কমিউনিটিতে এটি নীলাদ্রি লেক হিসেবেই বেশী পরিচিত। এই লেকের পানি খুব স্বচ্ছ। নৌকায় করে ঘুরে বেড়াতে পারবেন এই লেকে। আরো আছে কায়াকিং এর বিশেষ ব্যাবস্থা। ক্লান্তি দূর করার জন্য স্বচ্ছ ঠান্ডা লেকের জলে স্নান করে নিতে পারবেন। লেকের এক পাশ সবুজ ঘাসের চাদরে মোড়ানো ছোট ছোট বেশ কয়েকটি টিলা। আর অন্য পাশে রয়েছে সুউচ্চ সুবিশাল পাহাড়। পাহাড়, টিলা, লেকের স্বচ্ছ পানি প্রকৃতির এই সুন্দর মিতালী আপনাকে বিমোহিত করবে। এইখানে এসে আপনি হারিয়ে যেতে বাধ্য। ট্যাঁকের ঘাটে নৌকা থেকে নেমে সোজা হেঁটে চলে আসতে পারবেন নীলাদ্রি লেকে। পড়ন্ত বিকালের সময়টুকু কাটতে পারেন লেকের পাড়ের ঘাসের চাদরে বসে। অথবা প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে করতে পারেন লেকের জলে নৌকা ভ্রমণ অথবা করতে পারেন কায়াকিং।  
জাদুকাটা নদী
জাদুকাটা নদীর আদি নাম রেনুকা। কথিত আছে জাদুকাটা নদী পাড়ে বসবাস কারি কোন এক বধু তার পুত্র সন্তান জাদুকে কোলে নিয়ে নদীর অনেক বড় একটি মাছ কাটছিলেন। হঠাৎ অন্যমনস্ক হয়ে নিজের সন্তান জাদুকেই কেটে ফেলেন। এই কাহিনী থেকেই পরবর্তীকালে এই নদীর নাম হয় জাদুকাটা নদী। এ নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের জৈন্তিয়া পাহাড়। এ নদীর পানি অনেক ঠান্ডা, দুপুরের গেলে নঈতে ডূব দিতে একদম ভূলবেন না। তবে নদীর মাঝে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। মাঝে অনেক স্রোত থাকে। জাদুকাটার এক পাশে সুবিশাল পাহাড় উপরে নীল আকাশ আর নদীর স্বচ্ছ পানি এইগুলো মিলে অদ্ভূত এক ক্যানভাসের সৃষ্টি করে।  
শিমুল বাগান
এটি বাংলাদেশের সব চাইতে বড় শিমুলা বাগান। এ বাগানে প্রায় ৩০০০ শিমুল গাছ রয়েছে। প্রায় ১০০ বিঘা জায়গা জুরে এই শিমুল বাগানের বিস্তৃতি। বসন্ত কালে শিমুল ফুলের রক্তিম আভা আপনার মনকে রাঙ্গিয়ে দিবে। শিমুল বাগানের অপর পাশে মেঘালয়ের সুবিশাল পাহাড় মাঝে সচ্ছ নীল জলের নদী জাদু কাটা আর এই পাশে রক্তিম শিমুল ফুলের আভা আপনার মন নেচে উঠবে। শিমুল বাগানে প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। শিমুল বাগানের নিচেই নৌকা আসে। নৌকা না আসলে ট্যাকের ঘাট থেকে বাইক নিয়ে ঘুরে যেতে পারবেন শিমুল বাগান।  
বারিক্কা টিলা
মেঘালয়ের পাহাড়ের পাদদেশে সীমান্তের এই পাশে সবুজে মোড়ানো এক টিলার নাম বারেকের টিলা বা বারিক্কা টিলা। উঁচু এই টিলার একপাশে ভারতের সুউচু পাহাড়, অন্য পাশে স্বচ্ছ জলের নদী জাদুকাটা। বারিক্কা টিলা থেকেই দেখতে পারবেন মেঘ পাহাড়ের মিলবন্ধন। বারিক্কা টিলার উপর থেকে জাদুকাটা নদীর দিকে তাকালে আপনি যে নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে পারবেন তার রেশ থেকে যাবে বহুদিন। বারিকা টিলার পাশে দুইটি মিষ্টি পানির ছড়া রয়েছে। বর্ষাকাল ছাড়া এই ছরাগুলো পানি থাকে না বললেই চলে। ছড়া গুলো দেখতে খানিকটা ট্র্যাকিং করতে হবে। এছাড়াও ভারতের পাহাড়ে রয়েছে শাহ্ আরেফিনের মাজার এবং রয়েছে একটি তীর্থ স্থান। বছরের নির্দৃষ্ট দিনে এইখানে ওরস এবং পূণ্য স্নানের আয়োজন হয়। বারিক্কা টিলার পাশেই জাদুকাটা নদী। এ নদী দিয়েই নৌকায় করে আসতে পারবেন। কিন্ত নৌকা না আসলে ট্যাকের ঘাট থেকে বাইক বা ইজি বাইক চলে আসতে পারবেন বারিক্কা টিলায়।  
হিজল বন
টাঙ্গুয়ার হাওরের হিজল বনটি দেশের সবচাইতে পুরানো হিজল বন। বলাই নদীর পাশেই আছে এই হিজল বন। হাওরের মাছ ও পাখির অভয়াশ্রম এই হিজল বন। টাঙ্গুয়ার হাওরে আছে শতবর্ষীয় হিজল গাছ। বর্ষায় গলা সমান পানিতে ডুবে থাকা গাছে গাছে ঝুলে থাকা হিজল ফুলের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।  

এছাড়াও রয়েছে

 
হাসন রাজার যাদুঘর
সুনামগঞ্জ শহরের সুরমা নদীর ঠিক পাশেই রয়েছে মরমী কবি হাসন রাজার বাড়ি। হাসন রাজা একজন সম্ভ্রান্ত জমিদার ছিলেন। জমিদারির পাশাপাশি তিনি অসংখ্য গান রচনা করেছিলেন। সে সকল গান এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। বর্তমানে সুনামগঞ্জের হাসন রাজার বাড়িটি যাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এই যাদুঘরে হাসন রাজার স্মৃতি বিজড়িত অনেক জিনিসপত্র আছে। এইখানে আসলে আপনি দেখতে পাবেন মরুমী কবি হাসন রাজার রঙ্গিন আলখাল্লা, তিনি যেই চেয়ারে বসে গান রচনা করতেন সেই চেয়ার। তার ব্যবহৃত তলোয়ার। আরো আছে চায়ের টেবিল, কাঠের খড়ম, দুধ দোহনের পাত্র, বিভিন্ন বাটি, পান্দানি, পিতলের কলস, মোমদানি, করতাল, ঢোল, মন্দিরা, হাতে লেখা গানের কপি, ও হাসন রাজার বৃদ্ধ বয়সের লাঠি। টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ফেরার পথে ঘুরে যেতে পারবেন হাসন রাজার যাদুঘর।  
ডলুরা শহীদদের সমাধি সৌধ
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ডলুরা ছিল সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার অন্যতম রণাঙ্গন। এই রণাঙ্গনে সম্মুখ যুদ্ধে যারা শহীদ হন তাদের কয়েকজনকে এইখানে সমাহিত করা হয়। ১৯৭৩ সালে শহীদদের স্মরনে এইখানে স্মৃতি সৌধ নির্মান করা হয়। এইখানে ৪৮ জন শহীদের সমাধি রয়েছে। সুউচু পাহাড়ের পাদদেশে লুকিয়ে আছে ১৯৭১ এর রক্তাত্ত সংগ্রামের স্মৃতি চিহ্ন।  
পাইলগাঁও জমিদারবাড়ি
সাড়ে পাঁচ একর জমির উপর ৩০০ বছর আগে তৈরি করা হয় পাইলগাও জমিদার বাড়ি। কালের পরিক্রমায় ক্ষয়ে যাওয়া জমিদার বাড়িটি আজও সৌন্দর্য, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারক। এই জমিদার বাড়ির অবস্থান সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ০৯নং ইউনিয়নে। এই জমিদার বাড়ির প্রতিটি ঘর যেন এক অন্যরকম নান্দনিক স্থাপত্য শিল্পের সাক্ষী হয়ে আজো বিদ্যমান রয়েছে। পাইলগাও জমিদার বাড়ি প্রাচীন পুরাকীর্তির এক অনন্য নিদর্শন।  

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে সঙ্গে যা যা রাখবেন

 
ব্যাগ, গামছা, ছাতা, মশার হাত থেকে বাঁচতে ওডোমস ক্রিম, টুথপেষ্ট, সাবান, শ্যম্পু, সেন্ডেল, ক্যামেরা, ব্যাটারী, চার্জার, সানক্যাপ, সানগ্লাস, সানব্লক, টিস্যু, ব্যক্তিগত ঔষধ, লোশন, চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক, ব্যাটারি ব্যাকআপ সহ টর্চ, কোভিড ১৯ মোকাবিলায় মাস্ক, এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখবেন।  

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য এবং সতর্কতা

 
  • টাঙ্গুয়ার হাওর আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষার দায়িত্বও আমাদের সকলের।
  • টাঙ্গুয়ার হাওরে বেশকিছু জলাবন রয়েছে। এমন কিছু করবেন না যাতে এই বনের ক্ষতি হয়।
  • বোটে উঠেই আপনার লাইফ জ্যাকেটটি বুঝে নিবেন। যদি বোটে লাইফ জ্যাকেট না থাকে তাহলে বাজারে ভাড়া পাওয়া যায়, সেখান থেকে সংগ্রহ করে নিবেন।
  • খরচ কমাতে চাইলে গ্রুপ ভিত্তিক ভ্রমণ করুন।
  • বজ্রপাতের সময় বোটের ছাদে যাওয়া থেকে বিরিত থাকুন।
  • যাদুকাটা নদীতে সাতার জানলেও কোনভাবেই লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নামবেন না। জাদুকাটা নদীর তলদেশে তীব্র স্রোত থাকে যা উপর থেকে বুঝা যায় না।
  • হাওরের মাছ, বন্যপ্রানী এবং পাখি শিকার থেকে বিরত থাকুন।
  • অতি উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে এমন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার থেকে থাকুন।
  • হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং জীব বৈচিত্র রক্ষার জন্য কোন ধরনের অপচনশীল দ্রব্য হাওরের পানিতে ফেলবেন না। ( যদিও এই কাজটিই আমরা সব চাইতে বেশী করি। )
  • টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমনে আসার আগে অবশ্যই আপনার পছন্দের হাউজ বোটটি বুকিং করে আসবেন।